রাইটার - Horrasio Carrillo
কাহিনী:- রকি, এলেক্স আর মানি "ডেট্রয়েট" শহরের চোর। তারা দলবেধে অন্যের বাড়িতে চুরি করে ঢুকে সকল মুল্যবান জিনিস চুরি করে। চুরি করা জিনিস বিক্রি করে দিয়ে যে টাকা পায় তা দিয়েই চলতে হয় তাদের। চুরির শিকার অধিকাংশ বাড়িই "এলেক্স" এর বাবার সিকিউরিটি কোম্পানি থেকে সিকিউর করা তাই তাদের চুরি করতে বেশি অসুবিধায় পড়তে হয় না। "রকি" তার ছোট বোন "ডিডি" কে নিয়ে "ক্যালিফোর্নিয়া"তে চলে যেতে চায় কিন্তু, চুরির জিনিস বিক্রি করে তার কাছে যথেষ্ট টাকা থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের বেখেয়ালি মা আর তার মাতাল ছেলে বন্ধুর সাথে থাকতে হয়।
একদিন "মানি" একটি তথ্য জানতে পারে যে, শহরের খানিকটা কোনায় এক অবসরপ্রাপ্ত আর্মি কর্মকর্তার বাড়িতে ৩ লক্ষ ডলার ক্যাশ অবস্থায় রাখা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় এইটাই তাদের শেষ চুরি হবে। প্রথমে সকলে রাজি না থাকলেও "রকি" তার ছোট বোনের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে কয়েকদিন ধরে খতিয়ে দেখতে থাকে বাড়িটির আশেপাশের পরিবেশ আর লোকটির চলাফেরা। কয়েকদিন পর্যবেক্ষন এর পর তারা দেখতে পারে বৃদ্ধলোকটি চোখে দেখতে পারে না এবং একটি পোষা কুকুর ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার একমাত্র মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে সে নিজ বাড়ি থেকে বেশি একটা বাহিরে যায় না। মেয়ের স্মৃতিগুলি আগলে রেখে বাকি জীবন একাই কাটাতে চায় লোকটি।
চলে এলাম আজকের হরর মুভি রিভিউ/সিনোপসিস নিয়ে!!!!
আজকের মুভি :- "Don't Breathe"
মুভিটার পোস্টার দেখে হয়তবা আপনাদের মনে হতে পারে, দরজার ফাক থেকে কেউ ওৎ পেতে থেকে হঠাৎ করে পর্দার সামনে এসে দর্শকদের ভীত করার ব্যার্থ চেষ্টা করছে ছবিটির নির্মাতা।
মুভিটার টাইটেল দেখে মনে করাটাই স্বাভাবিক যে মুভিটা, এমন কোনো আজগুবি জন্তু নিয়ে তৈরি করা যে কি না তার শিকারের নিশ্বাসপ্রশ্বাস এর শব্দের সাহায্যে তাদের খুঁজে বের করে এবং খুব নির্মমভাবে তাদের হত্যা করে।
মুভিটার টাইটেল দেখে মনে করাটাই স্বাভাবিক যে মুভিটা, এমন কোনো আজগুবি জন্তু নিয়ে তৈরি করা যে কি না তার শিকারের নিশ্বাসপ্রশ্বাস এর শব্দের সাহায্যে তাদের খুঁজে বের করে এবং খুব নির্মমভাবে তাদের হত্যা করে।
কিন্তু সকলকে হতাশ করে দিয়ে ছবিটির নির্মাতা "ফেদে আলভারেজ" এবার দেখালেন তার বাস্তবধর্মি ভৌতিক জ্ঞানের পারদর্শিতা। সম্পুর্নরূপে অবাস্তব এবং কিঞ্চিৎ হাস্যকর কালজয়ী ভুতের ছবি "Evil Dead" নির্মাতা ফেদে এবার বেরিয়ে এসেছেন তার পূর্বের কনসেপ্ট থেকে।
মুভিটির মোড়ে মোড়ে আছে রহস্যজনক অসংখ্য মুহুর্ত যা দর্শককে নিজেদের সিটের আগায় বসিয়ে রাখবে শেষ পর্যন্ত। ছবিটির মূল চরিত্রে "স্টিভেন ল্যাং" অসাধারণ অভিনয় করেছেন।
মুভিটির মোড়ে মোড়ে আছে রহস্যজনক অসংখ্য মুহুর্ত যা দর্শককে নিজেদের সিটের আগায় বসিয়ে রাখবে শেষ পর্যন্ত। ছবিটির মূল চরিত্রে "স্টিভেন ল্যাং" অসাধারণ অভিনয় করেছেন।

একদিন "মানি" একটি তথ্য জানতে পারে যে, শহরের খানিকটা কোনায় এক অবসরপ্রাপ্ত আর্মি কর্মকর্তার বাড়িতে ৩ লক্ষ ডলার ক্যাশ অবস্থায় রাখা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় এইটাই তাদের শেষ চুরি হবে। প্রথমে সকলে রাজি না থাকলেও "রকি" তার ছোট বোনের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে কয়েকদিন ধরে খতিয়ে দেখতে থাকে বাড়িটির আশেপাশের পরিবেশ আর লোকটির চলাফেরা। কয়েকদিন পর্যবেক্ষন এর পর তারা দেখতে পারে বৃদ্ধলোকটি চোখে দেখতে পারে না এবং একটি পোষা কুকুর ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার একমাত্র মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে সে নিজ বাড়ি থেকে বেশি একটা বাহিরে যায় না। মেয়ের স্মৃতিগুলি আগলে রেখে বাকি জীবন একাই কাটাতে চায় লোকটি।
কাজটা অনেক সোজা ভাবেই হয়ে যাবে ভেবে এক রাতে তারা পা বাড়ায় অন্ধ লোকোটির বাড়ির দিকে। এর পরেই তারা বুঝতে পারে যে জীবনের সব থেকে বড় ভুলটাই বোধহয় করে ফেলেছে এই চুরির সিদ্ধান্তটি নিয়ে।
তাদের সাথে ঘটতে থাকে একের পর এক রোমহর্ষক ও ভয়ানক ঘটনা। মুভির শেষ পর্যন্ত নির্মাতা দর্শকদের জন্য রেখেছে গা ছমছমে রহস্য। রহস্য ভেদ করতে হলে আপনাদের দেখে ফেলতে হবে অসাধারন এই মুভিটি।
আপনি যদি সত্যিই হররপ্রেমি হন এবং আপনি যদি "সাইকো-থ্রিলার" সংগা জানেন, তবে আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে এটি ২০১৬ এর একটি উল্লেখযোগ্য সাইকো-থ্রিলার মুভি। মুভিটি "জেমস ওয়ান"এর বহুল অপেক্ষিত "Conjuring 2" কেও অনেক অংশে হার মানিয়েছে।
আপনি যদি সত্যিই হররপ্রেমি হন এবং আপনি যদি "সাইকো-থ্রিলার" সংগা জানেন, তবে আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে এটি ২০১৬ এর একটি উল্লেখযোগ্য সাইকো-থ্রিলার মুভি। মুভিটি "জেমস ওয়ান"এর বহুল অপেক্ষিত "Conjuring 2" কেও অনেক অংশে হার মানিয়েছে।
দেরি না করে দেখে ফেলুন Don't Breathe.
আমার রিভিউ/সিনোপসিস ভালো লাগলে কমেন্টে জানান এবং আপনাদের কোনো রিকোয়েস্ট থাকলে কমেন্টে শেয়ার করুন।