Skip to main content

হরর মুভি রিভিউ - Don't Breathe

রাইটার - Horrasio Carrillo

চলে এলাম আজকের হরর মুভি রিভিউ/সিনোপসিস নিয়ে!!!!
আজকের মুভি :- "Don't Breathe"


মুভিটার পোস্টার দেখে হয়তবা আপনাদের মনে হতে পারে, দরজার ফাক থেকে কেউ ওৎ পেতে থেকে হঠাৎ করে পর্দার সামনে এসে দর্শকদের ভীত করার ব্যার্থ চেষ্টা করছে ছবিটির নির্মাতা।
মুভিটার টাইটেল দেখে মনে করাটাই স্বাভাবিক যে মুভিটা, এমন কোনো আজগুবি জন্তু নিয়ে তৈরি করা যে কি না তার শিকারের নিশ্বাসপ্রশ্বাস এর শব্দের সাহায্যে তাদের খুঁজে বের করে এবং খুব নির্মমভাবে তাদের হত্যা করে।
কিন্তু সকলকে হতাশ করে দিয়ে ছবিটির নির্মাতা "ফেদে আলভারেজ" এবার দেখালেন তার বাস্তবধর্মি ভৌতিক জ্ঞানের পারদর্শিতা। সম্পুর্নরূপে অবাস্তব এবং কিঞ্চিৎ হাস্যকর কালজয়ী ভুতের ছবি "Evil Dead" নির্মাতা ফেদে এবার বেরিয়ে এসেছেন তার পূর্বের কনসেপ্ট থেকে।
মুভিটির মোড়ে মোড়ে আছে রহস্যজনক অসংখ্য মুহুর্ত যা দর্শককে নিজেদের সিটের আগায় বসিয়ে রাখবে শেষ পর্যন্ত। ছবিটির মূল চরিত্রে "স্টিভেন ল্যাং" অসাধারণ অভিনয় করেছেন।
কাহিনী:- রকি, এলেক্স আর মানি "ডেট্রয়েট" শহরের চোর। তারা দলবেধে অন্যের বাড়িতে চুরি করে ঢুকে সকল মুল্যবান জিনিস চুরি করে। চুরি করা জিনিস বিক্রি করে দিয়ে যে টাকা পায় তা দিয়েই চলতে হয় তাদের। চুরির শিকার অধিকাংশ বাড়িই "এলেক্স" এর বাবার সিকিউরিটি কোম্পানি থেকে সিকিউর করা তাই তাদের চুরি করতে বেশি অসুবিধায় পড়তে হয় না। "রকি" তার ছোট বোন "ডিডি" কে নিয়ে "ক্যালিফোর্নিয়া"তে চলে যেতে চায় কিন্তু, চুরির জিনিস বিক্রি করে তার কাছে যথেষ্ট টাকা থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের বেখেয়ালি মা আর তার মাতাল ছেলে বন্ধুর সাথে থাকতে হয়।
একদিন "মানি" একটি তথ্য জানতে পারে যে, শহরের খানিকটা কোনায় এক অবসরপ্রাপ্ত আর্মি কর্মকর্তার বাড়িতে ৩ লক্ষ ডলার ক্যাশ অবস্থায় রাখা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় এইটাই তাদের শেষ চুরি হবে। প্রথমে সকলে রাজি না থাকলেও "রকি" তার ছোট বোনের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে কয়েকদিন ধরে খতিয়ে দেখতে থাকে বাড়িটির আশেপাশের পরিবেশ আর লোকটির চলাফেরা। কয়েকদিন পর্যবেক্ষন এর পর তারা দেখতে পারে বৃদ্ধলোকটি চোখে দেখতে পারে না এবং একটি পোষা কুকুর ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার একমাত্র মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে সে নিজ বাড়ি থেকে বেশি একটা বাহিরে যায় না। মেয়ের স্মৃতিগুলি আগলে রেখে বাকি জীবন একাই কাটাতে চায় লোকটি।
কাজটা অনেক সোজা ভাবেই হয়ে যাবে ভেবে এক রাতে তারা পা বাড়ায় অন্ধ লোকোটির বাড়ির দিকে। এর পরেই তারা বুঝতে পারে যে জীবনের সব থেকে বড় ভুলটাই বোধহয় করে ফেলেছে এই চুরির সিদ্ধান্তটি নিয়ে।
তাদের সাথে ঘটতে থাকে একের পর এক রোমহর্ষক ও ভয়ানক ঘটনা। মুভির শেষ পর্যন্ত নির্মাতা দর্শকদের জন্য রেখেছে গা ছমছমে রহস্য। রহস্য ভেদ করতে হলে আপনাদের দেখে ফেলতে হবে অসাধারন এই মুভিটি।
আপনি যদি সত্যিই হররপ্রেমি হন এবং আপনি যদি "সাইকো-থ্রিলার" সংগা জানেন, তবে আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে এটি ২০১৬ এর একটি উল্লেখযোগ্য সাইকো-থ্রিলার মুভি। মুভিটি "জেমস ওয়ান"এর বহুল অপেক্ষিত "Conjuring 2" কেও অনেক অংশে হার মানিয়েছে।
দেরি না করে দেখে ফেলুন Don't Breathe.
আমার রিভিউ/সিনোপসিস ভালো লাগলে কমেন্টে জানান এবং আপনাদের কোনো রিকোয়েস্ট থাকলে কমেন্টে শেয়ার করুন।

Popular Posts

ব্ল্যাক ম্যাজিক/কালা যাদু থেকে বাঁচার উপায়

রাইটার -  মি. জোকার আমার  প্রথম ৩টি পোষ্টের মাধ্যমে আমি কালা যাদু, জ্বিন, কুফুরি/তাবিজ/বান নিয়ে বলেছি । অনেকে হয়ত এই বেপারে অনেক অবগত হয়েছেন । আর অনেকে বেপারগুলা জানেন কিন্তু এ থেকে বাঁচার উপায় জানেন না । আমি  কালা যাদুর থেকে নিজেকে বাচানোর কিছু প্রথমিক বিষয় আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আর উপকারেও আসবে । তবে  আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে আগে কিছু বলতে চাই । এই ব্ল্যাক ম্যাজিকের অনেক গুলা শ্রেণী বিভাগ রয়েছে । এর মধ্যে কুফরি, ডাকিনি বিদ্যা, ট্যারোট কার্ড অন্যতম । এরা সবাই শ য়তানের পূজা করে । তবে সব কুফরিকারী, ডাকিনিবিদ্যাকারী, ট্যারোট কার্ড রিডার কালা যাদুকর হলেও অনেক কালা যাদুকর এগুলা করে না । আবার সব শয়তানের পূজারি আবার কালা যাদু কর না। যেমন লাভেয়ান সাটানিজম এই জনগোষ্ঠীর কথা আলাদা (এরা শয়তানের পূজা করলেই এদের সব আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ) তাহলে  শুরু করা যাক , প্রথমেই বলে নেই সব ধর্মে বলা আছে যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, আর সৃষ্টিকর্তার উপরে আর কেউ নেই । তাই সকল পরিবেশে তার উপরে ভরসা রাখুন । আমরা  ইসলাম ধর্মের যারা আছি তারা...

অতৃপ্ত আইডি

রাত তখন প্রায় ২ টা। ফেসবুকিং করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসলো। গিয়ে দেখলাম একটা মেয়ের আইডি, আইডির নাম, 'তামান্না আফরিন'।  আমি প্রোফাইল চেক না করেই রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করে ফেললাম।  রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার পর আমি মেয়েটির প্রোফাইলে ঢুকলাম, এবং তার ছবিগুলো দেখতে লাগলাম।  মাশাআল্লাহ! এতো সুন্দর মেয়েটা! বলার বাহিরে! তার আইডিতে তার সাথে অনেকেরই ছবি আছে। এরা হয়তো তার ফ্রেন্ডস আর ফেমিলি মেম্বার। এসব দেখে এতটুকু নিশ্চিত হলাম যে এটা ফেইক আইডি না।  আমি তার ছবিগুলো দেখতে লাগলাম। . মিনিট খানিক পর একটা মেসেজ আসলো। ইনবক্সে গিয়ে দেখলাম এই মেয়েটারই মেসেজ। মেয়েটি "হাই" দিলো। আমিও রিপ্লাই দিলাম "হেলো"। মেয়েটি বললো, ~ কেমন আছেন? . -- জি ভালো। আপনি? . ~ হ্যা ভালো। . -- জি, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়ার কোনো কারণ? . ~ নাহ, এমনিই দিলাম। . -- ওহ আচ্ছা। . ~ আপনাকে ভালো লেগেছে। . তার এ কথা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। আবার একটু ভালোও লাগলো। কারন ওর ছবিগুলো দেখে ও কে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি জবাব দিলাম, -- ইয়ে..মানে, বুঝতে পারলাম না . ~ বললাম, আপনাকে আমার অনেক ভালো লেগেছে। . -- ও...

হরর মুভি রিভিউ - “দ্য এক্সরসিসম অফ এমিলি রোজ”

চলে এলাম আজকের মুভি সিনোপসিস নিয়ে।। আজকে আমি যে মুভিটা নিয়ে লিখবো, সেটা হরর মুভি এর জগতে একটি বিশেষ অবস্থান করে রেখেছে। কারণ, মুভিটির মূল চরিত্রের অস্তিত্ব বাস্তব জীবনেও ছিল এবং এটি প্যারানরমাল বিষয়ের হিস্ট্রিতে একটি বহুল আলোচিত ঘটনার উপর চিত্রিত। মুভিটির নাম হলোঃ- “দ্য এক্সরসিসম অফ এমিলি রোজ” ( The Exorcism Of Emily Rose ) The Exorcism Of Emily Rose আমার মনে হয় মুভির সামারি না দিয়ে আপনাদের সত্য ঘটনাটা বললেই আপনারা বেশি উপকৃত হবেন। কারন, মুভি তো আপনারা ডাউনলোড করেই দেখতে পারবেন। কিন্তু মূল ঘটনা ইন্টারনেটেও কোথাও গুছিয়ে লেখা নাই। তাই আজ আমি প্রথমে ঘটনাটা দিয়েই শুরু করি। “এমিলি রোজ” একটি ফিকশনাল নাম। যার ঘটনা নিয়ে এই মুভিটা হয়েছে তার আসল নাম হলো, “ আনেলিসা মিশেল ” । সে ১৯৫২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বার, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করে। বাভেরিয়া শহরের খুবই সাধারণ এবং সুন্দর একটি মেয়ে ছিল সে। সহজ-সরল এবং ধার্মিক স্বভাবের ছিল। ১৬ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে হঠাৎ একদিন সে দেখল সে তার নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। সাহায্যের জন্য সে তার পিতা-মাতা আর তিন বোনকে ডেকেছিল ঠিকই কিন্তু তা...