Skip to main content

গ্লুমি সানডে

Writer - Syadul Alam Mihad


‘গ্লুমি সানডে’, যে সুর শুনে ঝরে গিয়েছিল এক ঝাঁক প্রাণ।
১৯৩৩ সালের কথা, হাঙ্গেরিইয়ান ব্যবসায়ী লাজলো জাভোর রেষ্টুরেন্টে পিয়ানিষ্ট হিসেবে কাজ নেয় রেজসো সেরেস। লাজলো আর তার বান্ধবী ইলোনা দু’জনে মিলে রেষ্টুরেন্টটি পরিচালনা করতো। রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার পাশাপাশি লাজলো জাভোর ছিলেন একজন কবি লাজলো জাভোর এর একটি কবিতাকে উপজীব্য করে পিয়ানিস্ট রেজসো সেরেস সৃষ্টি করলেন একটি মোহনীয় সুর ‘গ্লুমি সান্ ডে’ বা ‘বিষণ্ন রবিবার’।
কিন্তু এই গান যে কখনো 'খুনি' হয়ে উঠতে পারে তা কে-ই বা ভেবেছিল?একটি গান মানুষকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে এমনটি শুনে অসম্ভব মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব কখনও কল্পনার গণ্ডিকে অনায়াসে অতিক্রম করে যায়। এটা তেমনই একটি বিষয়।এইজন্যে গানটিকে সবাই ‘হাঙ্গেরিয়ান সুইসাইড সং’ হিসেবেও চেনেন।
রহস্য ঘেরা গানটি ঘিরে রয়েছে বহু কথা। যেমন এক মহিলার কথা শোনা যায় যিনি গানটি প্লেয়ারে চালিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এক দোকানদারের সুইসাইড নোটে পাওয়া গিয়েছিল এই গানের লিরিক্স। এমন নানা ঘটনায় আবৃত একটি গান, যা চালানোর আগে অনেকেই দ্বিতীবার ভাবেন।
 গানটির গায়ক সেরেস যখন পেট চালাতে তিনি মরিয়া হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন সেই সময় সেরেস গানটিতে সুর দিয়েছিলেন। গানটির নেপথ্যে একটি গল্প রয়েছে। সেরেসের হাতে তখন কানাকড়িও নেই। কী করে একবেলার খাবার জুটবে, সেই চিন্তা গ্রাস করেছে তাকে। তার উপরে বান্ধবীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে । এই অবস্থায় সেরেসের হাতে আসে গানটি। অনেকেই ধারণা করেছেন, সেরেসের কষ্ট তার বন্ধু জাভোর অনুধাবন করেছিলেন। অন্য ব্যাখ্যায় বলা হয়, জাভোরের বান্ধবীই তাকে ত্যাগ করেছিলেন। তৃতীয় ব্যাখ্যায় বলা হয়, মূল কবিতাটি নেমে এসেছিল সেরেসের কলম বেয়েই। সেটিকে অদলবদল করে গানের আকার দেন জাভোর।
এই গানটি রেকর্ড করেছিলেন প্যাল ক্যামার। গানটির রেকর্ডিং প্রকাশিত হওয়ার পরেই হাঙ্গেরিতে পরপর আত্মহত্যা ঘটতে থাকে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং পুলিশের কাছে তথ্য একত্র করে ইউরোপ, আমেরিকা মিলিয়ে প্রায় ১০০ আত্মাহুতির সঙ্গে এই সুরের সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। হাঙ্গেরীয়ান সরকার বাধ্য হলো সুরটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে!!
এক পর্যায়ে সেরেস নিজেকে দায়ী করতে শুরু করলেন এতগুলি প্রাণের আত্মাহুতির জন্য।ফল স্বরূপ তিনি নিজে্ও ১৯৬৮ সালে ঘরের জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে সেরেস নিজেই আত্মহত্যা করেন।
আমার কাছে কিন্তু গানটি খুব ভালো মনে হয়েছে। সেই ২০১২ সালে প্রথম শুনে এখনো আল্লাহ রহমতে বহাল তবিয়তেই আছি.
অবাক করা বিষয় হচ্ছে সুরটি ২০০২ সাল পর্যন্তও বিবিসি ইংল্যান্ডে নিষিদ্ধ ছিলো!!
আপনাদের জন্যে নীচে লিরিক দিয়ে দিলাম। কেউ কচু গাছের সাথে ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করতে চাইলে আমার দোষ নেই.
Sunday is gloomy,
My hours are slumberless
Dearest the shadows
I live with are numberless
Little white flowers
Will never awaken you
Not where the black coach of
Sorrow has taken you
Angels have no thought
Of ever returning you
Would they be angry
If I thought of joining you?
Gloomy Sunday.

Popular Posts

ব্ল্যাক ম্যাজিক/কালা যাদু থেকে বাঁচার উপায়

রাইটার -  মি. জোকার আমার  প্রথম ৩টি পোষ্টের মাধ্যমে আমি কালা যাদু, জ্বিন, কুফুরি/তাবিজ/বান নিয়ে বলেছি । অনেকে হয়ত এই বেপারে অনেক অবগত হয়েছেন । আর অনেকে বেপারগুলা জানেন কিন্তু এ থেকে বাঁচার উপায় জানেন না । আমি  কালা যাদুর থেকে নিজেকে বাচানোর কিছু প্রথমিক বিষয় আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আর উপকারেও আসবে । তবে  আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে আগে কিছু বলতে চাই । এই ব্ল্যাক ম্যাজিকের অনেক গুলা শ্রেণী বিভাগ রয়েছে । এর মধ্যে কুফরি, ডাকিনি বিদ্যা, ট্যারোট কার্ড অন্যতম । এরা সবাই শ য়তানের পূজা করে । তবে সব কুফরিকারী, ডাকিনিবিদ্যাকারী, ট্যারোট কার্ড রিডার কালা যাদুকর হলেও অনেক কালা যাদুকর এগুলা করে না । আবার সব শয়তানের পূজারি আবার কালা যাদু কর না। যেমন লাভেয়ান সাটানিজম এই জনগোষ্ঠীর কথা আলাদা (এরা শয়তানের পূজা করলেই এদের সব আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ) তাহলে  শুরু করা যাক , প্রথমেই বলে নেই সব ধর্মে বলা আছে যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, আর সৃষ্টিকর্তার উপরে আর কেউ নেই । তাই সকল পরিবেশে তার উপরে ভরসা রাখুন । আমরা  ইসলাম ধর্মের যারা আছি তারা...

অতৃপ্ত আইডি

রাত তখন প্রায় ২ টা। ফেসবুকিং করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসলো। গিয়ে দেখলাম একটা মেয়ের আইডি, আইডির নাম, 'তামান্না আফরিন'।  আমি প্রোফাইল চেক না করেই রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করে ফেললাম।  রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার পর আমি মেয়েটির প্রোফাইলে ঢুকলাম, এবং তার ছবিগুলো দেখতে লাগলাম।  মাশাআল্লাহ! এতো সুন্দর মেয়েটা! বলার বাহিরে! তার আইডিতে তার সাথে অনেকেরই ছবি আছে। এরা হয়তো তার ফ্রেন্ডস আর ফেমিলি মেম্বার। এসব দেখে এতটুকু নিশ্চিত হলাম যে এটা ফেইক আইডি না।  আমি তার ছবিগুলো দেখতে লাগলাম। . মিনিট খানিক পর একটা মেসেজ আসলো। ইনবক্সে গিয়ে দেখলাম এই মেয়েটারই মেসেজ। মেয়েটি "হাই" দিলো। আমিও রিপ্লাই দিলাম "হেলো"। মেয়েটি বললো, ~ কেমন আছেন? . -- জি ভালো। আপনি? . ~ হ্যা ভালো। . -- জি, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়ার কোনো কারণ? . ~ নাহ, এমনিই দিলাম। . -- ওহ আচ্ছা। . ~ আপনাকে ভালো লেগেছে। . তার এ কথা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। আবার একটু ভালোও লাগলো। কারন ওর ছবিগুলো দেখে ও কে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি জবাব দিলাম, -- ইয়ে..মানে, বুঝতে পারলাম না . ~ বললাম, আপনাকে আমার অনেক ভালো লেগেছে। . -- ও...

হরর মুভি রিভিউ - “দ্য এক্সরসিসম অফ এমিলি রোজ”

চলে এলাম আজকের মুভি সিনোপসিস নিয়ে।। আজকে আমি যে মুভিটা নিয়ে লিখবো, সেটা হরর মুভি এর জগতে একটি বিশেষ অবস্থান করে রেখেছে। কারণ, মুভিটির মূল চরিত্রের অস্তিত্ব বাস্তব জীবনেও ছিল এবং এটি প্যারানরমাল বিষয়ের হিস্ট্রিতে একটি বহুল আলোচিত ঘটনার উপর চিত্রিত। মুভিটির নাম হলোঃ- “দ্য এক্সরসিসম অফ এমিলি রোজ” ( The Exorcism Of Emily Rose ) The Exorcism Of Emily Rose আমার মনে হয় মুভির সামারি না দিয়ে আপনাদের সত্য ঘটনাটা বললেই আপনারা বেশি উপকৃত হবেন। কারন, মুভি তো আপনারা ডাউনলোড করেই দেখতে পারবেন। কিন্তু মূল ঘটনা ইন্টারনেটেও কোথাও গুছিয়ে লেখা নাই। তাই আজ আমি প্রথমে ঘটনাটা দিয়েই শুরু করি। “এমিলি রোজ” একটি ফিকশনাল নাম। যার ঘটনা নিয়ে এই মুভিটা হয়েছে তার আসল নাম হলো, “ আনেলিসা মিশেল ” । সে ১৯৫২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বার, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করে। বাভেরিয়া শহরের খুবই সাধারণ এবং সুন্দর একটি মেয়ে ছিল সে। সহজ-সরল এবং ধার্মিক স্বভাবের ছিল। ১৬ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে হঠাৎ একদিন সে দেখল সে তার নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। সাহায্যের জন্য সে তার পিতা-মাতা আর তিন বোনকে ডেকেছিল ঠিকই কিন্তু তা...