Writer - Rezowan Tushar
এইটা আমি যখন বগুড়া ছিলাম ওই সময়ের একটা ঘটনা। আমি তখন বগুড়ার একটা বেসরকারী একটা কলেজ এ পড়তাম।
একদিন কলেজ থেকে বাসাই ফেরার জন্য অটোরিক্সাতে উটছি তো আমার সামনের সিট এ বসে দুই জন লোক গল্প করতেছিল যে সারিয়াখান্দি গ্রাম এর কোন একটা পুরাতন বাড়িতে নাকি paranormal কিছু ঘটনা ঘটে।
এইটা শুনে আমি তাদের কাছে থেকে ওই বাড়িটার পুরো ঠিকানাটা জেনে নিই।
আগেই বলে রাখি আমার আর আমার একটা বন্ধুর এইসব paranormal ব্যাপার গুল নিয়ে জানার খুব ইচ্ছা ছিল আসলেই কি এই ধরনের কিছু আছে কিনা । তাই এই রকম কোন কিছু জানতে পারলেই আমরা ওই জায়গায় থাকতে চলে য়াইতাম ।
আমি এইটা জানার পরই আমার বন্ধু কে জানাই সে শুনে খুব খুশি হয় বলে চল অনেক দিন পর এই রকম একটা কিছু এর সন্ধান পাওয়া গেল দুজন একটা রাত থেকে আসি।
তো আমরা ঠিক করলাম যে আমরা পরের দিন রাতেই ওই বাড়িতে থাকতে যাব। কিন্তু
ওই দিন রাতের বেলা আমার ওই বন্ধু ফোন করে বলে যে সে যাইতে পারবে না ওর বাড়িতে কি জানি একটা সমস্যা হয়েছে। এইটা শুনে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। তারপর ঠিক করলাম যে আমি একাই যাব ।
তো যে কথা সেই কাজ । আমি পরের দিন বিকাল ৩ টাই বাড়ি থেকে রওনা দিলাম ।
ওইখানে পোঁছালাম বিকাল ৫ টাই । পোঁছানোর পর এলাকাটা ঘুরে দেখতেছিলাম ঘুরতে ঘুরতে একটা চা এর দোকানে বসে চা খাইতেছিলাম আর কয়েকজন লোক কে ওই বাড়ির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেছিলাম। তো এইটা দেখে একজন হুজুর এসে প্রশ্ন করলেন যে আমি ওই বাড়ির সম্পর্কে জানতে চাইতেছি কেন আমি বললাম আমি ওই বাড়িতে আজ রাতে থাকবো ।
এইটা শুনে উনি কি অবাক হইছিলেন নাকি ভয় পাইছিলেন ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । তারপর উনি আমাকে ওই বাড়িতে যাতে আমি না থাকি এই জন্য অনেক অনুরোধ করছিলেন । কিন্তু আমি ঠিক করেই নিয়েছিলাম যে আমি ওই বাড়িতে থাকবোই । তার কিছুক্ষণ পর আমি পাশের দোকান থেকে কিছু শুকনা খাবার নিয়ে রাত ৮ টাই ওই বাড়িতে প্রবেশ করলাম।
এর আগেও এরকম অনেক বাড়িতে রাত কাটিয়েছি কিন্ত এই বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে ক্যামন জানি একটা অশস্থি লাগতেছিল মনে হয়তেছিল কে যেন আমাকে দেখতেছে । তারপর
আমি পুরো বাড়িটা ভাল করে ঘুরে দেখলাম । তবে বাড়িটা বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যাই যে বাড়িটি অনেক আগের আর অনেক আগে থেকেই ফাকা পরে আছে। তো দেখা শেষ করে পশ্চিম পাশের একটা ঘরে প্রবেশ করলাম । ঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল ধুলাই জরজিরনো চেয়ার আর টেবিল।
আমি পকেট থেকে রুমাল টা বের করে চেয়ার আর টেবিল দুইটা ভাল করে পরিষ্কার করলাম। তারপর
ঘড়টার চারদিক ভালভাবে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। তারপর চেয়ারে বসে পরলাম আর ব্যাগ থেকে একটা বই আর চারজার লাইট টা বের করে চেয়ারে বসে পড়া শুরু করলাম।
পড়তে পড়তে পকেট থেকে ফোন টা বের করে দেখি রাত ১০ টা বেজে গেছে। ১০ টা বেজে গেছে দেখে রাতের খাবার টা সেরে ফেললাম। তারপর আবার চোখ কান খোলা রেখে চেয়ারে বসে আছি।
সাধারণত এইসব বাড়িতে আমি ঘুমাই আর ঘুম আসেও না কিন্ত এই বাড়িতে ক্যামন জানি খুব ঘুম পাইতেছিল।
ঘুম পাইতেছিল দেখে আমি ব্যাগ থেকে মাদুরটা বের করে মেঝের উপর বিছিয়ে শুয়ে পরলাম।
একদিন কলেজ থেকে বাসাই ফেরার জন্য অটোরিক্সাতে উটছি তো আমার সামনের সিট এ বসে দুই জন লোক গল্প করতেছিল যে সারিয়াখান্দি গ্রাম এর কোন একটা পুরাতন বাড়িতে নাকি paranormal কিছু ঘটনা ঘটে।
এইটা শুনে আমি তাদের কাছে থেকে ওই বাড়িটার পুরো ঠিকানাটা জেনে নিই।
আগেই বলে রাখি আমার আর আমার একটা বন্ধুর এইসব paranormal ব্যাপার গুল নিয়ে জানার খুব ইচ্ছা ছিল আসলেই কি এই ধরনের কিছু আছে কিনা । তাই এই রকম কোন কিছু জানতে পারলেই আমরা ওই জায়গায় থাকতে চলে য়াইতাম ।
আমি এইটা জানার পরই আমার বন্ধু কে জানাই সে শুনে খুব খুশি হয় বলে চল অনেক দিন পর এই রকম একটা কিছু এর সন্ধান পাওয়া গেল দুজন একটা রাত থেকে আসি।
তো আমরা ঠিক করলাম যে আমরা পরের দিন রাতেই ওই বাড়িতে থাকতে যাব। কিন্তু
ওই দিন রাতের বেলা আমার ওই বন্ধু ফোন করে বলে যে সে যাইতে পারবে না ওর বাড়িতে কি জানি একটা সমস্যা হয়েছে। এইটা শুনে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। তারপর ঠিক করলাম যে আমি একাই যাব ।
তো যে কথা সেই কাজ । আমি পরের দিন বিকাল ৩ টাই বাড়ি থেকে রওনা দিলাম ।
ওইখানে পোঁছালাম বিকাল ৫ টাই । পোঁছানোর পর এলাকাটা ঘুরে দেখতেছিলাম ঘুরতে ঘুরতে একটা চা এর দোকানে বসে চা খাইতেছিলাম আর কয়েকজন লোক কে ওই বাড়ির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেছিলাম। তো এইটা দেখে একজন হুজুর এসে প্রশ্ন করলেন যে আমি ওই বাড়ির সম্পর্কে জানতে চাইতেছি কেন আমি বললাম আমি ওই বাড়িতে আজ রাতে থাকবো ।
এইটা শুনে উনি কি অবাক হইছিলেন নাকি ভয় পাইছিলেন ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । তারপর উনি আমাকে ওই বাড়িতে যাতে আমি না থাকি এই জন্য অনেক অনুরোধ করছিলেন । কিন্তু আমি ঠিক করেই নিয়েছিলাম যে আমি ওই বাড়িতে থাকবোই । তার কিছুক্ষণ পর আমি পাশের দোকান থেকে কিছু শুকনা খাবার নিয়ে রাত ৮ টাই ওই বাড়িতে প্রবেশ করলাম।
এর আগেও এরকম অনেক বাড়িতে রাত কাটিয়েছি কিন্ত এই বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে ক্যামন জানি একটা অশস্থি লাগতেছিল মনে হয়তেছিল কে যেন আমাকে দেখতেছে । তারপর
আমি পুরো বাড়িটা ভাল করে ঘুরে দেখলাম । তবে বাড়িটা বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যাই যে বাড়িটি অনেক আগের আর অনেক আগে থেকেই ফাকা পরে আছে। তো দেখা শেষ করে পশ্চিম পাশের একটা ঘরে প্রবেশ করলাম । ঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল ধুলাই জরজিরনো চেয়ার আর টেবিল।
আমি পকেট থেকে রুমাল টা বের করে চেয়ার আর টেবিল দুইটা ভাল করে পরিষ্কার করলাম। তারপর
ঘড়টার চারদিক ভালভাবে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। তারপর চেয়ারে বসে পরলাম আর ব্যাগ থেকে একটা বই আর চারজার লাইট টা বের করে চেয়ারে বসে পড়া শুরু করলাম।
পড়তে পড়তে পকেট থেকে ফোন টা বের করে দেখি রাত ১০ টা বেজে গেছে। ১০ টা বেজে গেছে দেখে রাতের খাবার টা সেরে ফেললাম। তারপর আবার চোখ কান খোলা রেখে চেয়ারে বসে আছি।
সাধারণত এইসব বাড়িতে আমি ঘুমাই আর ঘুম আসেও না কিন্ত এই বাড়িতে ক্যামন জানি খুব ঘুম পাইতেছিল।
ঘুম পাইতেছিল দেখে আমি ব্যাগ থেকে মাদুরটা বের করে মেঝের উপর বিছিয়ে শুয়ে পরলাম।
আর কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম তা আমি নিজেও বুঝতে পারি নাই।
তার কতক্ষণ পর ঠিক করে বলতে পারবনা কিসের জানি একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন ঠিক কত বাজে তা দেখি নাই।
ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর চারদিক ভাল করে দেখলাম কিন্তু শব্দটা যে ঠিক কিসের তা বুঝতে পারলাম না।
তারপর মনে হল গলাটা ক্যামন জানি শুকিয়ে গেছে। পাশেই পানির পটটি রাখাছিল ওইটা হাতে নিয়ে দেখি তাতে পানি নেই একদম ফাকা। কিন্ত আমার ঠিক ভাল ভাবে মনে আছে যে আমি পানি নিয়েই বাড়িতে ঢুকেছি। তবে এইটা নিয়ে খুব একটা বেশি চিন্তা না করে বাইরে পানি আনতে চলে গেলাম। বাইরে থেকে পানি নিয়ে ঘিরে ঢুকবো ঠিক সেই সময় খেয়াল করলাম যে ঘরের ভেতর থেকে কিসের যেনো শব্ধ হচ্ছে মানে মনে হচ্ছে ঘরের ভেতরে কে যেন আছে। খুব তারাতারি করে ঘরের ভেতর ঢুকে চারদিকে টর্চের আলো ছড়িয়ে দেখলাম যে কেউ আছে কি না। কিন্তু কেউই ছিল না। আমি ভাবলাম হয়ত বিড়াল বা ইদুর জাতীয় কিছু হবে।
তারপর আমি আবার ঘুমানোর জন্য লাইট অফ করে শুয়ে পরলাম। কিছুক্ষণ পর মনে হয়তেছিল যে আমার পাশে কে যেন নিশ্বাস নিচ্ছে মানে আমার পাশে কারো উপস্থিতি অনুভব করতেছিলাম। একবার ভাবতেছিলাম পাশ ফিরে দেখব যে আসলেই কি কেউ আছে কি না আবার ভাবতেছিলাম যে দেখব না । এরকম করে অনেকক্ষণ সময় কেটে গেল। তারপর অনেকক্ষণ চিন্তা করে ঠিক করলাম যে আমাকে দেখতে হবে যে আমার পাশে ক শুয়ে আছে?
তার কতক্ষণ পর ঠিক করে বলতে পারবনা কিসের জানি একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন ঠিক কত বাজে তা দেখি নাই।
ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর চারদিক ভাল করে দেখলাম কিন্তু শব্দটা যে ঠিক কিসের তা বুঝতে পারলাম না।
তারপর মনে হল গলাটা ক্যামন জানি শুকিয়ে গেছে। পাশেই পানির পটটি রাখাছিল ওইটা হাতে নিয়ে দেখি তাতে পানি নেই একদম ফাকা। কিন্ত আমার ঠিক ভাল ভাবে মনে আছে যে আমি পানি নিয়েই বাড়িতে ঢুকেছি। তবে এইটা নিয়ে খুব একটা বেশি চিন্তা না করে বাইরে পানি আনতে চলে গেলাম। বাইরে থেকে পানি নিয়ে ঘিরে ঢুকবো ঠিক সেই সময় খেয়াল করলাম যে ঘরের ভেতর থেকে কিসের যেনো শব্ধ হচ্ছে মানে মনে হচ্ছে ঘরের ভেতরে কে যেন আছে। খুব তারাতারি করে ঘরের ভেতর ঢুকে চারদিকে টর্চের আলো ছড়িয়ে দেখলাম যে কেউ আছে কি না। কিন্তু কেউই ছিল না। আমি ভাবলাম হয়ত বিড়াল বা ইদুর জাতীয় কিছু হবে।
তারপর আমি আবার ঘুমানোর জন্য লাইট অফ করে শুয়ে পরলাম। কিছুক্ষণ পর মনে হয়তেছিল যে আমার পাশে কে যেন নিশ্বাস নিচ্ছে মানে আমার পাশে কারো উপস্থিতি অনুভব করতেছিলাম। একবার ভাবতেছিলাম পাশ ফিরে দেখব যে আসলেই কি কেউ আছে কি না আবার ভাবতেছিলাম যে দেখব না । এরকম করে অনেকক্ষণ সময় কেটে গেল। তারপর অনেকক্ষণ চিন্তা করে ঠিক করলাম যে আমাকে দেখতে হবে যে আমার পাশে ক শুয়ে আছে?
তো টর্চ জ্বালিয়ে পাশ ফিরেই যা দেখলাম তা আমি কোন ভাবেই ভাবি নাই যে আমি এইরকম কিছু দেখব। তখন আমার অবস্থাটা যে কি হয়ছিল তা বলে বুঝাতে পারব না।
আমি দেখলাম ঠিক আমার মতই দেখতে একজন আমার পাশে শুয়ে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
এটা দেখার পর যে ঠিক হয়ছিল তা আমি জানি না হয়ত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম ।
আর যখন জ্ঞান ফিরল তখন আমি ওই বাড়িটার উঠানে পরে আছি।
আমি দেখলাম ঠিক আমার মতই দেখতে একজন আমার পাশে শুয়ে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
এটা দেখার পর যে ঠিক হয়ছিল তা আমি জানি না হয়ত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম ।
আর যখন জ্ঞান ফিরল তখন আমি ওই বাড়িটার উঠানে পরে আছি।
আমি আজ পর্যন্ত ব্যাপার টা মেলাতে পারিনাই যে আমি শুয়ে ছিলাম ঘরে কিন্তু উঠানে কিভাবে আসলাম...?
আর ঠিক আমার মত দেখতে লোকটা কে ছিল ?
সে কি মানুষ ছিল ...?
আর যদি মানুষই হবে তাহলে আমি প্রথম বাড়িতে প্রবেশ করার পর দেখতে পেলাম না কেন...?আর ওই এলাকার মানুষ গুলোই বা বলেছিল কেন যে এই বাড়িতে কেউ থাকে না...?
আর ঠিক আমার মত দেখতে লোকটা কে ছিল ?
সে কি মানুষ ছিল ...?
আর যদি মানুষই হবে তাহলে আমি প্রথম বাড়িতে প্রবেশ করার পর দেখতে পেলাম না কেন...?আর ওই এলাকার মানুষ গুলোই বা বলেছিল কেন যে এই বাড়িতে কেউ থাকে না...?