
রাইটার - Chayan Saha
অবশেষে লিখতে বসলাম।আমি তেমন গুছিয়ে লিখতে পারি না।একটূ লং পোস্ট।একটু কষ্ট করে পইড়েন।।আমার লাইফে কোনোদিন কিছু দেখি নাই সরাসরি!!কিন্তু অনেক কিছুই ফিল করছি।।।ছোট থাকতে আমাদের একান্নবর্তী পরিবার ছিলো।।এখনও মনে পড়ে ২ মাসের ব্যাবধানে মা ৩ টা তাবিজ শিকড় দিয়ে বাধা অবস্থায় পেয়েছিলো!!একটা চুলার নিচে,একটা চালের ড্রামে,আরেকটা বালিশের তুলার ভিতর!!জানি না কে বা কারা এইগুলা করতো,কিন্তু তখন থেকেই এইগুলা ভয় পাই।।।তাছাড়া আমাদের ঘরের(টিনের ঘর,মাঝে কার আছে যেখানে বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখে) একটা সাইডে দুপুর ১২-৩ টা এবং রাত ১২-৩ টায় প্রতিদিন কট্ করে একটা সাউন্ড হবেই,যেন কেউ কাঠের তক্তায় পাড়া দিলো।।এবং এইটা ছোটবেলা থেকে শুনে অভস্থ্য!!কিন্তু তাজ্যব ব্যাপার হলো ওইজায়গার নিচে ঘড়ি টানাই আমরা, আজ পর্যন্ত যতো ঘড়ি টাঙানো হয়েছে সব অটোমেটিক ফাস্ট হয়ে যায়!!স্লো না!!!
এবার আসি সরাসরি ভৌতিক কিছু এক্সপেরিয়েন্স!!
২০১০ সাল। HSC দিয়ে ঢাবির ভর্তির কোচিং করতে ঢাকায় যাই।পুরান ঢাকায় মামা বাসায় উঠি,যেহেতু মামাদের ঘরে আমার পড়াশোনার ডিস্টার্ব হবে তাই উনাদের একতলা বিল্ডিং এর পাশের ২ তলা বিল্ডিং এ থাকার ব্যবস্থা করে দিলো!!বলে রাখি বিল্ডিং টা ১২/১৩ বছর #তালা লাগানো অবস্থায় ছিলো!নিচতলায় ২ টা রুমের কোণার টায় আমার থাকা নিশ্চিত হলো।আমার রুম থেকে বাথ্রুমে যেতে হলে ২য় রুম টা ক্রস করে তারপর যেতে হতো,এবং তার পাশেই দোতলার সিড়ি.দোতলায় আমার রুম টার ঠিক উপরে শুধু একটা রুম।ওইটা তালা দেয়া।তার উপরে ছাদ।সেটিও তালা দেয়া এবং অন্য বাসার ছাদ থেকে কেউ আসা সম্ভব না।
থাকার ১ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হলো নূপুরের আওয়াজ।।তাও রাত ১ টার পরে।।প্রথমে আমার মামাতো ভাই ও ঘুমাতো আমার সাথে কিন্তু ও এইটা শোনার পর ঘুমাতে চাইলো না।মামা মামি কে বললাম,উনারাও বিশ্বাস করলো না।বাধ্য হয়ে একা থাকতে হলো!!প্রায় ১.৫ মাস এই আওয়াজ শুনতে শুনতে রাত পার করলাম!!তারপর হঠাৎ করে শুরু হলো উপরের তালা দেয়া রুম টাতে মারবেল খেলা।।রাত ২-৩ টায় কে যেনো একটা মারবের খেলতো,আওয়াজ টা সবাই বুঝবেন,যেনো কেউ হাত থেকে মারবেল ফেলে দিলে ড্রপ খেতে খেতে আস্তে আস্তে যেমন থেমে যায় অনেকগুলা ড্রপ খেয়ে তেমন।।।এবং এর সাথে আস্তে আস্তে কে যেনো সিলিং এর দেয়ালে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিতো পেন্ডুলাম ঘড়ির মতো!এটাও চললো ণেক্সট ১/১.৫ মাস!!সাথে নুপূরের আওয়াজ তো আছেই।।বিশ্বাস করেন আমি যে কিভাবে ৩ টা মাস কাটায় দিছি সেটা আমি নিজেই জানি
:(
তার পর থেকে শুরু হলো আরো ভয়ংকর এক্সপেরিয়েন্স!!নূপূরের আওয়াজ টা যেটা মনে হতো ছাদের হতো সেটা এবার কাছে চলে আসতে লাগ্লো!মনে হতো আমার কেউ নূপূর পড়ে সিড়ি দিয়ে নেমে একটা রুম ক্রস করে আমার রুমের দরজার কাছে আইসা দাঁড়ায় পড়তো,এবং সেটা এতই স্পস্ট যে ভাবলে লিখতে গিয়েও পশম দাঁড়ায় যাইতাছে!!এমন ভাবে ৬ টা মাস কাটাইছি।।।রাতে ঘুম আস্তো না,ভগবানের ছবি সাথে নিয়া ঘুমাইতাম!!তারপর পরীক্ষা শেষে চলে আসি!!তার একবছর পর মামা বাসায় গেলে এবার মামির মুখেই আরো কিছু ঘটনা শুনি যেটা তারা ফেইস করছে!!যেমন ছাদের দরজায় মাঝ্রাতে জোড়ে বাড়ি দেয়া,,,পুরো খালি বিল্ডিং রাতে দরজায় কেউ নক করা।।হোৎাৎ করে বাথ্রুমের লাইট জলে উঠা!!যাই হোক!!এর পর আমি যতবার গেছি আর কিছু ফেইস করি নাই।।তবে গত বছর আমার এক কাজিন ওই বিল্ডিং টার পাশের বিল্ডিং এর নতুন তোলা দোতলায় সুইসাইড করে!
:( বলা বাহুল্য তার আগের রাতে সে আমার মামাতো ভাই এর সাথে ওই হন্টেড টাইপ বিল্ডিং এর দোতলায় ঘুমিয়েছিলো!!জানি না এইগুলা কানেক্টেড কিনা।।জানি না আমার টানা ৬ মাস হেলুসিনেশন হইছিলো কিনা,তবে অনেকেই হাল্কা পাতলা কিছু না কিছু ফেইস করছে তবে কেউ কখনো কিছু দেখে নাই।।
২০১০ সাল। HSC দিয়ে ঢাবির ভর্তির কোচিং করতে ঢাকায় যাই।পুরান ঢাকায় মামা বাসায় উঠি,যেহেতু মামাদের ঘরে আমার পড়াশোনার ডিস্টার্ব হবে তাই উনাদের একতলা বিল্ডিং এর পাশের ২ তলা বিল্ডিং এ থাকার ব্যবস্থা করে দিলো!!বলে রাখি বিল্ডিং টা ১২/১৩ বছর #তালা লাগানো অবস্থায় ছিলো!নিচতলায় ২ টা রুমের কোণার টায় আমার থাকা নিশ্চিত হলো।আমার রুম থেকে বাথ্রুমে যেতে হলে ২য় রুম টা ক্রস করে তারপর যেতে হতো,এবং তার পাশেই দোতলার সিড়ি.দোতলায় আমার রুম টার ঠিক উপরে শুধু একটা রুম।ওইটা তালা দেয়া।তার উপরে ছাদ।সেটিও তালা দেয়া এবং অন্য বাসার ছাদ থেকে কেউ আসা সম্ভব না।
থাকার ১ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হলো নূপুরের আওয়াজ।।তাও রাত ১ টার পরে।।প্রথমে আমার মামাতো ভাই ও ঘুমাতো আমার সাথে কিন্তু ও এইটা শোনার পর ঘুমাতে চাইলো না।মামা মামি কে বললাম,উনারাও বিশ্বাস করলো না।বাধ্য হয়ে একা থাকতে হলো!!প্রায় ১.৫ মাস এই আওয়াজ শুনতে শুনতে রাত পার করলাম!!তারপর হঠাৎ করে শুরু হলো উপরের তালা দেয়া রুম টাতে মারবেল খেলা।।রাত ২-৩ টায় কে যেনো একটা মারবের খেলতো,আওয়াজ টা সবাই বুঝবেন,যেনো কেউ হাত থেকে মারবেল ফেলে দিলে ড্রপ খেতে খেতে আস্তে আস্তে যেমন থেমে যায় অনেকগুলা ড্রপ খেয়ে তেমন।।।এবং এর সাথে আস্তে আস্তে কে যেনো সিলিং এর দেয়ালে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিতো পেন্ডুলাম ঘড়ির মতো!এটাও চললো ণেক্সট ১/১.৫ মাস!!সাথে নুপূরের আওয়াজ তো আছেই।।বিশ্বাস করেন আমি যে কিভাবে ৩ টা মাস কাটায় দিছি সেটা আমি নিজেই জানি

তার পর থেকে শুরু হলো আরো ভয়ংকর এক্সপেরিয়েন্স!!নূপূরের আওয়াজ টা যেটা মনে হতো ছাদের হতো সেটা এবার কাছে চলে আসতে লাগ্লো!মনে হতো আমার কেউ নূপূর পড়ে সিড়ি দিয়ে নেমে একটা রুম ক্রস করে আমার রুমের দরজার কাছে আইসা দাঁড়ায় পড়তো,এবং সেটা এতই স্পস্ট যে ভাবলে লিখতে গিয়েও পশম দাঁড়ায় যাইতাছে!!এমন ভাবে ৬ টা মাস কাটাইছি।।।রাতে ঘুম আস্তো না,ভগবানের ছবি সাথে নিয়া ঘুমাইতাম!!তারপর পরীক্ষা শেষে চলে আসি!!তার একবছর পর মামা বাসায় গেলে এবার মামির মুখেই আরো কিছু ঘটনা শুনি যেটা তারা ফেইস করছে!!যেমন ছাদের দরজায় মাঝ্রাতে জোড়ে বাড়ি দেয়া,,,পুরো খালি বিল্ডিং রাতে দরজায় কেউ নক করা।।হোৎাৎ করে বাথ্রুমের লাইট জলে উঠা!!যাই হোক!!এর পর আমি যতবার গেছি আর কিছু ফেইস করি নাই।।তবে গত বছর আমার এক কাজিন ওই বিল্ডিং টার পাশের বিল্ডিং এর নতুন তোলা দোতলায় সুইসাইড করে!

আর ছোট্ট একটা ঘটনা যেটা না বললেই নয়,৬ মাস ধরে চাকরি করছি।।প্রতিদিন বাসে ১ ঘন্টা জার্নি করতে হয়।।২ মাস আগে একটা কাহিনী ঘটে যেটা Horrasio Carrillo ভাই রে জানাইছিলাম।।রাতে বাসে ফেরার পথে হোৎাৎ করেই একটা মেয়ের বিকট চিৎকার শুনি যেনো বাসে চাপা পড়ছে এই টাইপ,,আমি সাথে সাথে বাইরে তাকাই,চলতি বাস + অন্ধকারের কারনে কিছুই দেখি না।।কিন্তু সবচেয়ে অবাক করার বিষয় টা ছিলো আমার আশেপাশের কেউই কোনো রিয়েকশন দেয়নি আমার মতো,মানে এক বিন্দুও বা।।যেনো কিছুই হয় নাই।।।কিন্তু আওয়াজ আমি স্পস্ট শুনছি!!তখনই মনে হলো আওয়াজ টা কি তাহলে আমি একাই শুনলাম!!!
আরেকটা বিষয় হচ্ছে ছোট থেকেই আমার শরীর বেশিদিন ভালো থাকে না।।একটু ভালো হলেই হঠাৎ কিছু না কিছু ঘটে মানে অসুস্থ হই এবং শরীর প্রতিবারই একদম ভেঙে পড়ে!!!
জানি না এইগুলা আসলে নরমাল কিনা।।গত বুধবার ও মাঝ্রাতে হোৎাৎ ঘুম ভেঙে মনে হলো কেউ তাকিয়ে আছে।।।কিন্তু হাল্কা একটা আয়বয় দেখতে না দেখতেও প্রচন্ড ঘুম পাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়ি!!!
সব পড়ার পরে যদি কারো কোনো ঘটনা নিয়া কিছু বলার বা কোনো সাজেশন থাকে প্লিজ বইলেন।।আর ভাই,যা ঘটছে সেগুলাই বললাম শর্ট করতে উলটো একটু কাটছাট করছি আর কি!!!
আরেকটা বিষয় হচ্ছে ছোট থেকেই আমার শরীর বেশিদিন ভালো থাকে না।।একটু ভালো হলেই হঠাৎ কিছু না কিছু ঘটে মানে অসুস্থ হই এবং শরীর প্রতিবারই একদম ভেঙে পড়ে!!!
জানি না এইগুলা আসলে নরমাল কিনা।।গত বুধবার ও মাঝ্রাতে হোৎাৎ ঘুম ভেঙে মনে হলো কেউ তাকিয়ে আছে।।।কিন্তু হাল্কা একটা আয়বয় দেখতে না দেখতেও প্রচন্ড ঘুম পাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়ি!!!
সব পড়ার পরে যদি কারো কোনো ঘটনা নিয়া কিছু বলার বা কোনো সাজেশন থাকে প্লিজ বইলেন।।আর ভাই,যা ঘটছে সেগুলাই বললাম শর্ট করতে উলটো একটু কাটছাট করছি আর কি!!!