Skip to main content

আত্মহত্যাকারী বা অপঘাতে মৃত ব্যক্তির আত্মা ভূত হয়ে কি দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ায়?

সকল মানুষের পিছনে একটি করে শয়তান জিন থাকে। তাদের একমাত্র কাজ হলো, কেউ মুসলমান হলে তাকে দিয়ে পাপ করানো বা তাকে ইমান হারা করে ফেলা।
তেমনি আত্মহত্যাকারী বা অপঘাতে মৃত ব্যক্তির সাথেও শয়তান জিন থাকে। যখন তারা এভাবে মারা যায় তখন শয়তান জিনগুলোই মৃত মানুষের আত্মার বেশ ধরে নানা রকমের অপকর্ম করে।
এই সব শয়তান জিনগুলো এমন সব অপকর্ম করে, যাতে মানুষের মধ্যে কিছু ইসলামের আকিদা বহিঃর্ভুত বিশ্বাস জন্মে যায়। এর ফলে মানুষ মনে করে সে ইসলামেই আছে, আসলে তার মধ্যে ইসলামের আকিদা বহিঃর্ভুত বিশ্বাসও জন্মে গেছে। এইভাবেই শয়তান জিন মানুষকে জাহান্নামী বানিয়ে ফেলে।
এই সব শয়তান জিনগুলো মানুষকে দিয়ে ব্ল্যাক ম্যাজিকও করিয়ে থাকে। আর যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক করে তারা জাহান্নামী হবেই।
মূলত মানুষ মারা গেলে, ভাল আত্মা ইল্যিয়িনে এবং খারাপ আত্মা সিজ্জিনে নেয়া হয়। সেখান থেকে আত্মা ভুত হয়ে পৃথিবীতে এসে ঘুরে বেড়াবে এটা সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ কারো মৃত্যু নিশ্চিত করলে তাকে আর পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেন না।
উত্তরে সোজাভাবে বলা যায়, এগুলো হলো কখনো শয়তান জিনের কাজ, কখনো দুষ্ট জিনের কাজ, কখনো দুষ্ট লোকের কাজ, কখনো ভাল জিনের কাজ, আর অনেক সময় পুরোপুরি ভুল বুঝাবুঝি।
আপনি সহজেই এই কথা বিশ্বাস করতে পারেন, জিন আপনার চড় মেরেছে।
কিন্তু এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, আপনার পরিচিত কোন মৃতের আত্মা এসে আপনাকে চড় মেরেছে। এটা ইসলামের আকিদা বহিঃর্ভুত বিশ্বাস।
আবার মুত্যু থেকে ফিরে আসার নানা রকমের অদ্ভুত সব গল্পও শোনা যায়। তারা নাকি তাদের পরিচিত মৃতের সাথে কথা বলেছে, নানা ধরণের মৃত্যুপরবর্তি অভিজ্ঞতার বর্ণনাও তারা দেয়। এগুলো একদমই ভুয়া।
আসলে এটাও শয়তান জিনের কাজ। তারা এভাবেই মানুষের ইমান নষ্ট করে ফেলে। কেউ যখন মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তখন শয়তান জিন তাদেরকে ইমান হারা করে মারার জন্য নানা ধরণের ঘটনা ঘটায়। এই মানুষটি যখন বেচে যায় তখন ওই সব ঘটনারই বর্ণনা দেয়।
সংগ্রহ - কুরআন ও হাদীস।

Popular Posts

ব্ল্যাক ম্যাজিক/কালা যাদু থেকে বাঁচার উপায়

রাইটার -  মি. জোকার আমার  প্রথম ৩টি পোষ্টের মাধ্যমে আমি কালা যাদু, জ্বিন, কুফুরি/তাবিজ/বান নিয়ে বলেছি । অনেকে হয়ত এই বেপারে অনেক অবগত হয়েছেন । আর অনেকে বেপারগুলা জানেন কিন্তু এ থেকে বাঁচার উপায় জানেন না । আমি  কালা যাদুর থেকে নিজেকে বাচানোর কিছু প্রথমিক বিষয় আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আর উপকারেও আসবে । তবে  আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে আগে কিছু বলতে চাই । এই ব্ল্যাক ম্যাজিকের অনেক গুলা শ্রেণী বিভাগ রয়েছে । এর মধ্যে কুফরি, ডাকিনি বিদ্যা, ট্যারোট কার্ড অন্যতম । এরা সবাই শ য়তানের পূজা করে । তবে সব কুফরিকারী, ডাকিনিবিদ্যাকারী, ট্যারোট কার্ড রিডার কালা যাদুকর হলেও অনেক কালা যাদুকর এগুলা করে না । আবার সব শয়তানের পূজারি আবার কালা যাদু কর না। যেমন লাভেয়ান সাটানিজম এই জনগোষ্ঠীর কথা আলাদা (এরা শয়তানের পূজা করলেই এদের সব আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ) তাহলে  শুরু করা যাক , প্রথমেই বলে নেই সব ধর্মে বলা আছে যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, আর সৃষ্টিকর্তার উপরে আর কেউ নেই । তাই সকল পরিবেশে তার উপরে ভরসা রাখুন । আমরা  ইসলাম ধর্মের যারা আছি তারা...

অতৃপ্ত আইডি

রাত তখন প্রায় ২ টা। ফেসবুকিং করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসলো। গিয়ে দেখলাম একটা মেয়ের আইডি, আইডির নাম, 'তামান্না আফরিন'।  আমি প্রোফাইল চেক না করেই রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করে ফেললাম।  রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার পর আমি মেয়েটির প্রোফাইলে ঢুকলাম, এবং তার ছবিগুলো দেখতে লাগলাম।  মাশাআল্লাহ! এতো সুন্দর মেয়েটা! বলার বাহিরে! তার আইডিতে তার সাথে অনেকেরই ছবি আছে। এরা হয়তো তার ফ্রেন্ডস আর ফেমিলি মেম্বার। এসব দেখে এতটুকু নিশ্চিত হলাম যে এটা ফেইক আইডি না।  আমি তার ছবিগুলো দেখতে লাগলাম। . মিনিট খানিক পর একটা মেসেজ আসলো। ইনবক্সে গিয়ে দেখলাম এই মেয়েটারই মেসেজ। মেয়েটি "হাই" দিলো। আমিও রিপ্লাই দিলাম "হেলো"। মেয়েটি বললো, ~ কেমন আছেন? . -- জি ভালো। আপনি? . ~ হ্যা ভালো। . -- জি, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়ার কোনো কারণ? . ~ নাহ, এমনিই দিলাম। . -- ওহ আচ্ছা। . ~ আপনাকে ভালো লেগেছে। . তার এ কথা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। আবার একটু ভালোও লাগলো। কারন ওর ছবিগুলো দেখে ও কে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি জবাব দিলাম, -- ইয়ে..মানে, বুঝতে পারলাম না . ~ বললাম, আপনাকে আমার অনেক ভালো লেগেছে। . -- ও...

হরর মুভি রিভিউ - “দ্য এক্সরসিসম অফ এমিলি রোজ”

চলে এলাম আজকের মুভি সিনোপসিস নিয়ে।। আজকে আমি যে মুভিটা নিয়ে লিখবো, সেটা হরর মুভি এর জগতে একটি বিশেষ অবস্থান করে রেখেছে। কারণ, মুভিটির মূল চরিত্রের অস্তিত্ব বাস্তব জীবনেও ছিল এবং এটি প্যারানরমাল বিষয়ের হিস্ট্রিতে একটি বহুল আলোচিত ঘটনার উপর চিত্রিত। মুভিটির নাম হলোঃ- “দ্য এক্সরসিসম অফ এমিলি রোজ” ( The Exorcism Of Emily Rose ) The Exorcism Of Emily Rose আমার মনে হয় মুভির সামারি না দিয়ে আপনাদের সত্য ঘটনাটা বললেই আপনারা বেশি উপকৃত হবেন। কারন, মুভি তো আপনারা ডাউনলোড করেই দেখতে পারবেন। কিন্তু মূল ঘটনা ইন্টারনেটেও কোথাও গুছিয়ে লেখা নাই। তাই আজ আমি প্রথমে ঘটনাটা দিয়েই শুরু করি। “এমিলি রোজ” একটি ফিকশনাল নাম। যার ঘটনা নিয়ে এই মুভিটা হয়েছে তার আসল নাম হলো, “ আনেলিসা মিশেল ” । সে ১৯৫২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বার, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করে। বাভেরিয়া শহরের খুবই সাধারণ এবং সুন্দর একটি মেয়ে ছিল সে। সহজ-সরল এবং ধার্মিক স্বভাবের ছিল। ১৬ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে হঠাৎ একদিন সে দেখল সে তার নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। সাহায্যের জন্য সে তার পিতা-মাতা আর তিন বোনকে ডেকেছিল ঠিকই কিন্তু তা...