বাংলাদেশের ভয়ংকর রহস্যে ঘেরা ৫ টি জায়গা।
এসব জায়গা নিয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা কি রকম?
এসব জায়গা নিয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা কি রকম?
১। চিকনকালা (নিফিউ পাড়া): এই এলাকাটা বাংলাদেশ এবং বার্মার মাঝামাঝি।সেখানে হরহামেশাই দেখা যায় চিতা বাঘের চামড়া পড়ে আছে এদিক সেদিক এবং শকুনের আনাগোনা। কাছের মুরং গ্রাম চিকনকালার লোকেরা বলে প্রতিবছর নাকি (দিনটা নির্দিষ্ট না) হঠাত কোন জানান না দিয়ে বনের ভিতর রহস্যময় ধুপ ধাপ আওয়াজ আসে। শিকারীরা আওয়াজটা শুনলেই সবাই দৌড়ে বন থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিবছর কিছু মানুষ পিছনে পড়ে যান এবং কয়েকদিন পর বনের মধ্যে তাদের মৃত দেহ পাওয়া যায়। বডিতে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই, চোখে শুধু রয়েছে অজানা ভয়ের ছাপ।
২। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড বা অতল স্পর্ষী : মেঘনা নদী যেখানে সাগরে মিশেছে সে জায়গাটাকেই বলা হয় সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড।বহু আগে ব্রিটিশরা সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড নামটি দেয় কারন সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড যেখানে শুরু সেখানে হঠাৎ করেই পানির গভীরতা বেড়ে গেছে এবং এই জায়গাটির কোন তল নাই। এর কারণ হলো ,সাগরের তলদেশের রহস্য।
৩। গানস অফ বরিশালঃ ব্রিটিশরা বরিশালে আসার সময় নাম ছিল বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জের ততকালীন ব্রিটিশ সিভিল সার্জন প্রথম ঘটনাটা লেখেন। বর্ষা আসার আগে আগে গভীর সাগরের দিক থেকে রহস্যময় কামান দাগার আওয়াজ আসতো। ব্রিটিশরা প্রথমে মনে করতো জলদস্যু কিন্তু অনেক খোজাখুজি করেও কিছুই পাওয়া যায়নি। রহস্যময়
৪। বগালেকঃ বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন বাস করতো। বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। এই লেকের গভীরতা নিয়ে এখনো অনেক মতভেদ রয়েছে। প্রতিবছর লেকের পানি কয়েকবার রঙ বদলায়।
৫. লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গঃ শোনা যায় লালবাগ কেল্লার মাটির নিচে অনেক দূর পর্যন্ত একটা সুরঙ্গ চলে গেছে, এই সুরঙ্গ রহস্য উদঘাটনে অনেকবারই নাকি অনেকে সুরঙ্গ দিয়ে নেমেছেন কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। আবশেষে পরীক্ষা করার জন্য নাকি দড়ি দিয়ে বেঁধে মানুষ এবং শিকল দিয়ে বেঁধে ঘোড়া পাঠানো হয়েছে ঘন্টার পার ঘন্টা ফিরে না আসায় দড়ি এবং শিকল টেনে এনে নাকি দেখা গেছে শুধু হাড়-গোড়। তারপর থেকেই নাকি এই সুরঙ্গের পথ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে চিরদিনের জন্যে।