Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2021

অমীমাংসিত একটি ঘটনা

আমার জীবনের অমীমাংসিত একটি ঘটনা বলতে চাচ্ছি!!  যা আমাকে বার বার ভাবায় আর চিন্তায় ফেলে দেয়।।  ঘটনাটি শুরু হয় ২০০৬ সালে যখন আমি বুঝের হই তখন থেকে বয়স আনুমানিক ১৩ একটি সপ্নের মাধ্যমে।।  সপ্নটি ছিল এরকম, আমি কোন একটি পুরাতন জায়গায় হাটছি আর ওই স্থানটি ছিল একেবারে নির্জন আর নিরিবিলি।।  আমি হাটতে হাটতে সেখানে তেমন কাউকে দেখতে পাই না।। তো এভাবে হেটে হেটে অনেক  বাড়ি পার করে আমি ক্লান্ত হয়ে যাই,একটা সময় আমার পানির পীপাসা লাগায় আমি একটি বাড়ির সামনে দাড়াই কাওকে ডাক দেই কিন্ত কেউ সারা দেয় না।  এজন্যে আমি আরেকটু এগিয়ে তার দরজার সামনে ডুকতেই আমার সপ্ন ভেঙ্গে যায়। বাড়ির দরজা জানালা গুলো সব খোলা ছিল।  তারপর আবারো ঠিক কয়েকদিন পর আমি একই সপ্ন দেখি ওই বাড়িটার সামনে গেলেই আমার সপ্ন ভেঙ্গে যায়। এভাবে আমি প্রায় একই সপ্ন দেখতাম ঘুম ভাংলে আমার অনেক ভয়ও লাগতো কিন্ত কাওকে কিছু বলতাম না। ২০০৭ সাল আসার পর আমি আর সপ্নটা দেখিনি কিন্তু ২০০৮ সালে তখন আমার  এস এস সি পরীক্ষা তাই ঘুমাতাম অনেক কম  আর ওই সময়ই আবার আমি একই সপ্ন দেখি হঠাৎ অনেকদিন পর সপ্নটা দেখায় আমার অনেকটাই ভয় কাজ...

শয়তানের পুনর্জন্ম

পূর্ব অতলান্তিক মহাসাগরের বুকে এমন একটি দ্বীপ থাকতে পারে; তা চিন্তারও অতীত! সুউচ্চ খাড়াই পাথুরে পাহাড়ে ঘেরা, ভারী কুয়াশার আস্তরণে আবৃত; আকাশ বা জলপথ হতে দেখলে মনে হয় সাগরের বুক চিড়ে একটা বিশালকায় আগ্নেয়গিরি পূর্ণ ঔদ্ধত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, এই বুঝি গর্জে উঠে গলগল করে লাভা উদ্গিরণ শুরু করবে। পাথুরে প্রাচীরকে ঘিরে সমুদ্রের বিস্তীৰ্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সামুদ্রিক মারণ ফাঁদ চোরা ঘূর্ণি বলয় যা অচিরেই বড় বড় জাহাজকে টেনে নিতে পারে সমুদ্র গহ্বরে! অবাক হবার মত ঘটনা হল, পৃথিবীর মানচিত্রে এই অচেনা ভূবনের কোন উল্লেখমাত্র নেই। বোয়িং ব্ল্যাক হর্ন ৭৭ দিক নির্ণয় ভুল করে যখন ভেঙে পড়লো ওই পাথুরে প্রাচীরের গায়ে, আকাশে দেখা গেল তিনটি প্যারাশুট তিন অভিযাত্রী সহ ধীরে ধীরে ভাসতে ভাসতে অবতরণ করছে, এক সময় তিনটি প্যারাশুটই হারিয়ে গেল ঘন কুয়াশার অন্তরালে। তিন হতভাগ্য অভিযাত্রী যে কোথায় অবতরণ করলো তা বলা অসম্ভব। চেতনা ফিরে পেয়ে ভারী চোখের পাতা ধীরে ধীরে মেলে প্রোফেসর জন গ্রাহাম্বেল গাছগাছালী আর গাছের ঝুপসি পাতার ফাঁক দিয়ে নীল আকাশ দেখার ব্যর্থ চেষ্টা করে ক্ষান্ত হলেন। গাছের ডাল-পালার খোঁচায় শরীরে...

জিনের ছায়া

এই ঘটনাটির সঙ্গে আমি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কতটা সত্যি , কতটা কল্পনা আজ ও আমার অজানা... আমাদের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকে পিউ দি র ফ্ল্যাট। পিউ দি আমার দিদি , বন্ধু সব। আমরা একে অপরের কাছে নিজেদের সমস্ত সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করি। সেদিন বিকালে হঠাৎ ফোন পিউ দির। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো,"এখনি তৈরি হয়ে নে। একজায়গায় যেতে হবে।" আমি এপাশ থেকে কি,কেন ,কোথায় কিছু জিজ্ঞেস করবার আগেই বললো, রাস্তায় যেতে যেতে সব ঘটনা খুলে বলবো।এখন সময় নেই হাতে। অতঃপর আমি ও তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ।পিউ দি রাস্তায় অপেক্ষা করছিলো।হাত ধরে টানতে টানতে গাড়ি তে বসালো। গাড়িতে বসে জিজ্ঞেস করলাম,"কি হয়েছে ঘটনাটা একটু বলবে। কিছুই তো বুঝতে পারছি না। কোথায় নিয়ে যাচ্ছ, কেন নিয়ে যাচ্ছ।"দেখলাম মুখ চোখ থমথমে পিউ দির। বললো,"ব্যাপারটা আমিও ঠিক জানি না রে।তবে সাধারণ ব্যাপার না এটা। কিছু তো একটা অলৌকিক ক্রিয়াকলাপ আছে। আর সেজন্যই তো তোকে নিয়ে যাচ্ছি। তুই সঙ্গে থাকলে আমিও একটু সাহস পাই মনে।"আর কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। আমাদের গাড়ি এসে দাঁড়ালো শহরের কোলাহল থেকে বেশ দূরে একটা ফ্লাটের সাম...

দেশ বিদেশের ভূত

লেখক : অভিষেক মিত্র দক্ষিণ আমেরিকার উপকথা অনুযায়ী, ওখানকার এক ছোট্ট গ্রামে একজন অপরূপ সুন্দরী নারী বাস করত। কিন্তু সে তার স্বামীর সাথে প্রতারণা করে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রেখেছিল তার প্রেমিকের সাথে। তার স্বামী জানতে পেরে রাগে পাগল হয়ে যায়। তারপর তার স্ত্রীর একটি পা কেটে সেটা পাঠিয়ে দেয় তার স্ত্রীর প্রেমিকের কাছে। আর পা কাটা অবস্থায় তার স্ত্রীকে ফেলে আসে গভীর জঙ্গলে। অত্যাধিক রক্তক্ষরণের ফলে খুবই বেদনাদায়ক মৃত্যু ঘটে সেই অপরূপ সুন্দরী নারীর। মৃত্যুর পর, সেই নারীর আত্মা পরিবর্তিত হয় প্রথম পাতাসোলা-এ।  বলা হয়, যে সব নারী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আর সেই কারণে নিজের স্বামী আর সন্তানদের অবহেলা করে, তারাই মৃত্যুর পর পরিবর্তিত হয় পাতাসোল-এ। যদি কোন নারী তার সন্তানকে হত্যা করে তাহলে মৃত্যুর পর সেও পরিবর্তিত হয় পাতাসোলায়।  উপকথা অনুযায়ী, পাতাসোলাদের একটি মাত্র পা থাকে। আর সেই পায়ের পাতার জায়গায় থাকে একটা খুর (হরিণের)। দক্ষিণ আমেরিকার ভাষায় পাতা মানে হল পা আর সোলা মানে হল একটা। আর এই একটা পা থাকার কারণে এরা হাঁটতে পারে না। লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। সাধারণত, এই পাতাসোলাদের একটি স্তন, বড়...

মিরপুরের ভূতুড়ে হাসপাতাল

কলমেঃ Arif Islam  “এইখানে  ভুত থাকে !!!” আমাদের আজকের যায়গার কথা শুরু করার জন্য এর থেকে ভালো কোন বাক্য পেলাম না আমি। শুরু থেকেই আপনারা দেখে থাকবেন, আমি চেষ্টা করেছি নগরীর সব থেকে জনবহুল যায়গা গুলোর ঘটনা তুলে ধরতে। এই খোজ যতই করেছি, ততই অবাক হয়েছি আমি। এমন এমন জনাকীর্ণ সব যায়গায় এমন সব লোমহর্ষক ভুতুড়ে যায়গা আমরা আবিষ্কার করেছি, যা সত্যি ই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল আমাদের নিজেদের জন্যও। সেটা হোক উত্তরার সেই বহুতল বাড়িটি, বা আসকোনার সেই পরিত্যাক্ত বাড়িটি বা ধানমন্ডির মত যায়গার সেই ফ্ল্যাট, রিতা মিতার ঘটনাটাই ধরুন। তবে আজ আর বাড়ি নয়। আজ এসেছি পুরো আস্ত একটা হাসপাতাল নিয়ে। মিরপুর নিয়ে এই আমার দ্বিতীয় লেখা।  আমাদের আজকের যায়গাটি হল “ট্রাষ্ট আধুনিক হাসপাতাল, মিরপুর”। মিরপুর চিড়িয়াখানার একটু আগেই এর অবস্থান। হাসপাতালটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্টিত হলেও ১৯৯৫ তে অনেকটা হুট করেই বন্ধ করে দেয়া হয় এই হাসপাতাল। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের হাসপাতাল হওয়ায় এই হাসপাতালে প্রচুর রোগীও থাকতো। অনেকেই বলে হাসপাতালের ভেতরে অনেক কে রেখেই আটকে দেয়া হয় হাসপাতালটি। এমনকি তখনও মর্গের লাশ গুলো পর্যন্তও সরানো হয়নি। ...